ওয়েব ডেস্ক: দু’ঘণ্টার বৃষ্টিতে ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট (Traffic Jam)। প্রবল বর্ষণের (Heavy Rainfall) মাঝেই জলমগ্ন হরিয়ানার গুরুগ্রাম (Gurgaon Flood)। এর জেরে প্রবল ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি অভিযোগ তুলেছে, গত এক দশকের বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থেকেও শাসক বিজেপি (BJP) কোনও পরিকল্পিত পরিকাঠামো গড়ে তুলতে পারেনি। প্রশাসনের ব্যর্থতার কারণেই ‘মিলেনিয়াম সিটি’-র বাসিন্দারা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে দাবি করছে বিরোধীরা।
কংগ্রেস (Congress) নেতা ও সাংসদ রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা জল থইথই গুরুগ্রামের একটি ভিডিও পোস্ট করে লিখেছেন, “২ ঘণ্টার বৃষ্টিতেই গুরুগ্রামে ২০ কিলোমিটার জ্যাম! মুখ্যমন্ত্রী নায়াব সিং সাইনি রাজ্যের হেলিকপ্টারে ঘোরেন, রাস্তায় নামেন না বলেই এ ছবি। কোটি কোটি টাকা ড্রেনেজ আর যানজট নিয়ন্ত্রণে খরচ হয়েছে বলে দাবি করা হয়, অথচ বাস্তব এতটাই করুণ।” তিনি কটাক্ষ করে বলেন, এটাই বিজেপির “ট্রিপল ইঞ্জিন মডেল”— কেন্দ্র, রাজ্য ও গুরুগ্রাম পৌর নিগম মিলিয়ে উন্নয়নের এই হাল।
আরও পড়ুন: যমুনার জলস্তর ছাড়াল বিপদসীমা, গুরুগ্রামে বন্ধ স্কুল-অফিস
আরেক কংগ্রেস নেত্রী ও সিরসার সাংসদ কুমারী শেলজা অভিযোগ করেন, “মাত্র তিন ঘণ্টার বৃষ্টিতে গোটা শহর অচল হয়ে পড়েছে। মানুষ ৫–৬ ঘণ্টা ধরে ট্রাফিকে আটকে রয়েছেন। এ সবই বিজেপি সরকারের অক্ষমতা ও ভ্রান্ত পরিকল্পনার ফল।” রোহতকের সাংসদ দীপেন্দ্র সিং হুডার বক্তব্য, কংগ্রেস গুরুগ্রাম গড়ে তুলেছিল, কিন্তু বিজেপি গত ১১ বছরে সেটাকে ধ্বংস করেছে।
2 hours of rain = 20 KMs of Gurgaon Jam!
As CM Nayab Saini only flies in “State Helicopter” and doesn’t travel on “road”, this is a “helicopter shot” of Highway in Gurgaon just now.
So much for the rain preparedness and crores and crores of public money spent on drainage,… pic.twitter.com/HCNPYZkG2c
— Randeep Singh Surjewala (@rssurjewala) September 1, 2025
তীব্র সমালোচনার মুখে হরিয়ানার বিজেপি সরকার দাবি করেছে, তারা মানুষের পাশে রয়েছে। দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “এই বছর বৃষ্টিতে ৩৬ বছরের রেকর্ড ভেঙে গিয়েছে। আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। জলমগ্ন এলাকায় সাহায্যের সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। নায়াব সাইনি সরকার আগাম সব রকম প্রস্তুতি নিয়েছে। এটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ, তবু সরকার সর্বাত্মক প্রস্তুত।” কিন্তু শুধুমাত্র আশ্বাসে কি দুর্ভোগ কমবে গুরুগ্রামবাসীর? এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।
দেখুন আরও খবর: